কয়েক ধাপে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছে বাংলাদেশ দল। সাকিব আল হাসান নিয়ে নাটকের পর তিনিও রোববার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমান ধরেছেন। তার সঙ্গী হওয়ার কথা টিম ম্যানেজমেন্টের আরও তিনজনের। দেশ ছাড়ার আগে সাকিব জানিয়ে গেলেন সফরে একটি ওয়ানডে জিততে পারলেও সেটা বড় অর্জন হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে এখনো জিততে না পারায় জয়ের জন্য সাকিব মুখিয়ে আছেন। বিমানে ওঠার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে সাকিব বলেন, ‘প্রত্যাশা থাকবে যেন জিততে পারি।

সিরিজ জিততে পারলে খুবই ভালো। একটা ম্যাচ জিততে পারলেও খুব ভালো অর্জন হবে। আমার ধারণা, পুরো দলেরই একইরকম লক্ষ্য থাকবে এবং সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নেব। কতটুকু আছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ না, কতটুকু করতে পারব সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘দলীয় ও ব্যক্তিগতভাবে খুব বেশি কিছু আমরা কেউই আশানুরূপভাবে করতে পারিনি সেখানে। এটা পরিবর্তন করার একটা সুযোগ আমাদের সামনে। সেটাই আমরা চেষ্টা করব। ব্যক্তিগত প্রত্যাশা নেই।’ দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া ক্রিকেটাররা সবাই করোনা নেগেটিভ। আজ জোহানেসবার্গে অনুশীলন শুরু হবে।

আগামীকাল একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে তামিমদের। পরেরদিন বিশ্রামে থাকবে দল। বৃহস্পতিবার অনুশীলনের পর শুক্রবার আসল লড়াইয়ে নেমে যাবে বাংলাদেশ। সফরে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা আছেন কেপটাউনে। সেখানে গ্যারি কারস্টেনের ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলন করবেন মুমিনুলরা। দু-একদিন সময় দেবেন কারস্টেনও। জোহানেসবার্গে রয়েছে ওয়ানডে দল। ১৮, ২০ ও ২৩ মার্চ হবে তিনটি ওয়ানডে। সিরিজটি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ।

সাকিব সরাসরি ওয়ানডে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার মতো অবস্থায় না থাকার কারণ দেখিয়ে সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। বিসিবিও সাকিবকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দিয়েছিল।

তবে সাকিব ও বিসিবির মধ্যে নতুন করে আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত দুপক্ষই শনিবার একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই ফরম্যাটেই খেলতে রাজি হন সাকিব। সফরে যাওয়ার পর তার মানসিক অবস্থার ওপর খেলা নির্ভর করবে। তিনি যদি কোনো ম্যাচ না খেলতে চান তাহলে টিম ম্যানেজমেন্ট জোর করবে না। সাকিবকে বিশ্রামেই রাখবে।

 

কলমকথা / সাথী